চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃগণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনার অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবারও জমা দিচ্ছে না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগামী ১৭ জুন বা ১৮ জুনের মধ্যে কিটের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাজ গোছাতে আরও একটু সময় লাগছে। এ সম্পর্কিত কমিটি আগামী ১৭ জুন বা ১৮ জুনের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে কিটের প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এর আগে, গত ১৪ জুন ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন, ‘কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা সম্পর্কিত কমিটি অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষার ফলাফল ১৬ জুনের (আজ মঙ্গলবার) মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে দিয়ে দেবে বলে আশা করছি।
আজ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্রুত শনাক্তকরণের লক্ষ্যে ভারত সম্প্রতি অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন দিয়েছে। আর অ্যান্টিবডি কিট ব্যবহারের অনুমোদন তারা আরও আগেই দিয়েছে। ভারতে অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা দেওয়ার অনেক আগেই এই কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী কলকাতাতেও অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদের সমন্বয়ে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের একটি দল অ্যান্টিবডি কিট তৈরি করেছেন। তারা একটি অ্যান্টিজেন কিটও তৈরি করেছেন।
গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপর কিটের পরীক্ষায় বিএসএমএমইউ একটি কমিটি গঠন করে এবং ১২ মে দেওয়া এক চিঠিতে গণস্বাস্থ্যকে পরীক্ষার জন্য কিট দিতে বলে। এরপর ১৩ মে কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে ৫০০ পিস অ্যান্টিবডি কিট দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।