প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব-আলোচনায় যোগদান শেষে তার যুক্তরাষ্ট্র সফর সমাপ্ত করে শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে হেলসিঙ্কি হয়ে দেশে ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর-সঙ্গীদের নিয়ে ফিনিশ রাজধানী হেলসিঙ্কি হয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছুবে।’ ওয়াশিংটন ডিসি সময় ১৭:০০টায় ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডিসি’র ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলসিঙ্কির উদ্দেশে রওয়ানা দিবে।
এ সময় বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন। ১ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি হেলসিঙ্কি-ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
হেলসিঙ্কিতে দুই থেকে তিন ঘন্টা যাত্রা-বিরতির পর হেলসিঙ্কি সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিবে। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) মো. নাজমুল ইসলাম।
এর আগে ফিনিশ রাজধানী হেলসিঙ্কিতে দুই দিনের যাত্রা-বিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬তম ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক পৌঁছান।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইংর্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ৭৬তম ইউনাইটেড ন্যাশনস জেনারেল এসেমব্লি (ইউএনজিএ) ও কয়েকটি উচ্চ-পর্যায়ের পার্শ্ব-আলোচনায় অংশ নেন। পরে, ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কে তাঁর সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে ওয়াশিংটন ডিসি’র উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য রাখেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধ-দ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত-বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি চারাগাছ রোপন করেন।