ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা আড়ংঘাটা থানার সভাপতি আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়লকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার সারাদেশে গণ গ্রেফতার করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, তিনি নিরীহ নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার ও হয়রানী না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মায়াকান্না শোনা যায়। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে সরকার নৃশংসভাবে দলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে শত শত ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন তিনি, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তারা বলেন, রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে সবাই সমান। সে হিসেবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ যেভাবেই খুন হন না কেন তার বিষয়ে সরকার ব্যথিত হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার দলীয় কর্মী কোন জায়গায় কীভাবে সমস্যায় পড়েছে, ক্ষতির সম্বমুখীন হয়েছে, কোন জায়গায় কোন স্থাপনা ক্ষতি হয়েছে, তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরলেও তার দলের ক্যাডার ও পুলিশের গুলিতে খুন হওয়াদের বিষয়ে কোন কথা নেই, যা সচেতন নাগরিকদেরও ভাবিয়ে তুলেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আব্দুল আউয়াল আরো বলেন, গণহত্যা চালানোর পর আন্দোলনকারী নিরীহ ছাত্রদের দুষ্কৃতকারী আখ্যায়িত করে তাদের বিষয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবের কথা শোনা যাচ্ছে। তিনি সরকারের গণগ্রেফতারের কারণে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। মিডিয়া আসছে হাজার হাজার মানুষ গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যার মধ্যে অনেক নিরীহ মানুষের নামও দেখা যায়। তিনি নিরাপরাধ ও নিরীহ মানুষকে হয়রানী করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, নগর সহ-সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু গালিব, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, এইচএম আরিফুল ইসলাম, গাজী মিজানুর রহমান, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মোঃ হুমায়ুন কবির, মাওলানা হাফিজুর রহমান, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, খালিশপুর থানার সভাপতি হাফেজ আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, সোনাডাঙ্গা থানার সভাপতি মোল্লা রবিউল ইসলাম, সদর থানার সেক্রেটারী গাজী ফেরদাউস সুমন, মোঃ মঈন উদ্দিন, মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, ক্বারী জামাল হোসেন, আড়ংঘাটা থানার সেক্রেটারী কাজী তোফায়েল হোসেন, সোনাডাঙ্গা থানার সেক্রেটারী মোহাম্মদ কবির হোসেন, এস এম আবুল কালাম আজাদ, দৌলতপুর থানার সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম কাবীর, সেক্রেটারী আলফাত হোসেন লিটন, খানজাহান আলী থানার সভাপতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ, সেক্রেটারী মোঃ কামরুজ্জামান, লবণচরা থানার সেক্রেটারী মোঃ আব্দুস সালাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ আড়ংঘাটা থানার সভাপতি আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়লকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।