সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের আম গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় এক নারী ও যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা আত্মহত্যা নয়। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি)রাতে পরিত্যক্ত এক কক্ষে দু’জনকে এক সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাদেরকে হত্যার পর মরদেহ গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সোমবার (৮ফেব্রুয়ারি) সকালে নিহত নারীর স্বামী শেখ আহসান ও ছোট দেবর শেখ আসাদকে গ্রেপ্তার করেছে। এই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লোহার রড জব্দ করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধু ফাতেমা বেগম (৪০) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ হাসানের স্ত্রী ও যুবক করিম পাড় (৩০) শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট দক্ষিণপাড়া গ্রামের জয়নাল পাড়ের ছেলে।
প্রসঙ্গতঃ রোববার ভোরে কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হাইয়ের ছেলে বাক প্রতিবন্ধী শেখ হাসানের বাড়ির ৫০ গজ দূরের একটি আম গাছের ডালে একটি গাছায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আহসানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের করিম পাড়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন জানান, নিহত ফাতেমার সাথে শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকার জয়নাল পাড়ের ছেলে করিম পড়ের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতে পরিত্যক্ত একটি কক্ষে তাদেরকে এক সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফাতেমার বাক প্রতিবন্ধী স্বামী শেখ আহসান ও ছোট দেবর শেখ আসাদ। এসময় তারা প্রথমে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে দু’জনকে হত্যা করে৷ পরে তারা ফাতেমার গায়ে ব্যবহৃত কালো রংয়ের ওড়না ও গামছা দিয়ে তাদের গলা বেঁধে মরদেহ দু’টি একটি আম গাছে ঝুলিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় নিহত করিমপাড়ের বাবা জয়নাল পাড় রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত দুই প্রধান আসামিকে নিজেদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির প্রাচীরের পাশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রড উদ্ধার করা হয়।