বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্বের কারনে যাত্রীদের দাবির মুখে এবার বেনাপোল-মোংলা রেলপথে আজ থেকে যাত্রী সেবা শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত দিনে একটি ও সপ্তাহে ৬ দিন রেল চলবে এ রুটে। সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে এপথে উপকৃত হবেন যাত্রিরা।
জানা যায়, বেনাপোল রুটে যাত্রী সেবা বাড়াতে ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারীদের দাবির মুখে রেল কর্তৃপক্ষ বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রুটে চালু করেছে যাত্রী সেবা। ট্রেন চলাচলের জন্য চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। ‘নতুন এই রুটে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটি ট্রেন চলাচল করবে। খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত চলাচল করে বেতনা এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেনটি ফেরার পথে খুলনার ফুলতলা জংশন থেকে মোংলার দিকে যাত্রা করবে, তখন ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেনটি ‘মোংলা কমিউটার’ নাম ধারণ করে চলবে। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মঙ্গলবার। খুলনা থেকে ভোর ৬টায় বেনাপোলে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮ টায় । পরে বেনাপোল থেকে ৯ টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পরে দুপুর ১ টায় মোংলা থেকে ছেড়ে ট্রেনটি বেনাপোল পৌছাবে বিকাল সাড়ে ৪ টায়। ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদনের প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ ৯১ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথে ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১১টি প্লাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের নির্মাণ সম্পন্ন।
বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল হক জানান, বানিজ্যিক কারনে মোংলা বন্দর। যেতে হয়। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় দ্রুত পণ্য খালাস কাজে বিঘ্ন ঘটতো। এখন রেল সেবা চালুতে দ্রুত পণ্য খালাসে সহায়ক হবে।
বেনাপোল রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ আসাদুজ্জামান রানা জানান, বেনাপোল-মোংলা রেল সেবা চালুতে বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল ষ্টেশনের ব্যস্তত বাড়বে। এতে যাত্রীদের নিরপত্তা ব্যবস্থাও বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল ষ্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, বেনাপোল ও মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে মোংলা কমিউটার চালু হয়েছে। বেনাপোল রেল স্টেশন থেকে সকাল ১০টায় ৭১৬ জন যাত্রী নিয়ে মংলার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে।