মার্চ মাস। ঢুকতে দেয়া হলো করোনা ভাইরাস। বাধা বিপত্তি ছাড়াই উড়োজাহাজে আসলো। বাড়বাড়ন্ত হতে দেয়া হলো। ছড়ানো হল ৬৪ জেলায়।যদি মারণ অস্ত্র ধরা হয় করোনা ভাইরাসকে। তাহলে এ হামলার দায় কার? পথে বসা পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ কি হবে? অনেকে চরম নির্যাতন সয়ে ফিরে এসেছেন। তাদের কথা কেউভাবে? বিশাল জনগোষ্ঠী এখন করোনা আক্রান্তের শঙ্কায়। তারা কি করবে? কোথায় যাবে? সেদে টেনে আনা করোনা তাড়াতে দিশেহারা দেশ। রাষ্ট্রীয় কোষাগার ফাঁকা হচ্ছে স্বাস্থ্যখাতে।
সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। সময়মতো পদক্ষেপ না নেয়ায় এই সর্বনাশ হল। এখনও এক্সপেরিমেন্ট চলছে। পরীক্ষার হলে বসে অংক শেখার মত অবস্থা। দ্রুত সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। বেপরোয়া গতিতে গজাচ্ছে বিপদের ডালপালা। এখনো যতটুকু সুযোগ হাতে আছে কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না? কঠোর লকডাউন বা কারফিউ কেন এড়িয়ে যাচ্ছি। পেটে ভাত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না তাই? এটা তো অনেক ধনী দেশও পারছেনা। তাই বলে করোনার মুখে ঠেলে দেয়া! এভাবে মৃত্যু দেখতে হবে জলজ্যান্ত মানুষকে।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। রক্ত যখন দিয়েছি আরো রক্ত দেবো। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে তুলবো ইনশাআল্লা। একাত্তরে আমরা জিতেছি। এখন করোনা যুদ্ধ চলছে। আমরা কি নিয়ে যুদ্ধে আছি ময়দানে? এ যুদ্ধে হারবো না জিতবো? তা আর দেখার সুযোগ থাকলো না। কারণ আমরা করোনার কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে আছি।
আতিয়ার পারভেজ
লেখক -সাংবাদিক ও কলাম লেখক