খুলনা সদর থানা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কে এম হুমায়ুন কবীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোল্লা ফরিদ আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. নাসির উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সদর থানা বিএনপির আহবায়ক কে এম হুমায়ুন কবীর। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। এরআগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সৈয়দা নার্গিস আলীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংস্কার করে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই অধিকার হলো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংসদ। মানুষ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এটি এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই সরকার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। এই সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হোক। এই সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ওই দেশের গোয়ন্দা ‘র’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উস্কানির বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। জুলাই-আগস্টে দেশে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন হয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এমন নজির বিহীন আন্দোলন গত দেড়শ’ বছরে পৃথিবীর মানুষ দেখেনি। এ আন্দালনে শহীদদের ঋণ শোধ করতে হবে। যদিও আন্দোলনে প্রাথমিক বিজয় হলেও চুড়ান্ত বিজয় হয়নি। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে। বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার দেশী-বিদেশী যড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে। আমরা চাইনা এ সরকার ব্যর্থ হোক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখনও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে। উল্লেখ্য, সদর থানায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী থাকায় শুধুমাত্র সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. নাসির উদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহানা ঈসা।