কোনো ধরনের আর্থিক চুক্তি না করেই খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে কোভিড রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে করে আর্থিক সংকটে পড়েছে খুলনা ডায়াবেটিক সমিতি। গত ১০ মাস ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অর্ধেক বেতন পাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ–বারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আর্থিক সহায়তা চেয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ বছরের মার্চ থেকে খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে হাসপাতালটির নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।স্থানীয় নিয়মিত রোগীরা ডায়াবেটিক সমিতি থেকে এখন শুধু বহির্বিভাগ সেবা পাচ্ছেন। হাসপাতালটি বন্ধ থাকায় আর্থিক অনটনে পড়েছে ডায়াবেটিক সমিতি। গত নয় মাস ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অর্ধেক বেতন পাচ্ছেন। বকেয়াও পড়েছে তিন মাসের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত নয় মাসে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা লোকাসান হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কর্মচারিদের বেতন বাবদ মন্ত্রনালয়রে কাছে এক কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে তারা।সিভিল সার্জন জানান, ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।
ডায়াবেটিক সমিতির অভিযোগ, তাদের না জানিয়ে হাসপাতালের ওটি রুম ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। মূল্যবান যন্ত্রপাতিরও ক্ষতি করেছে ব্যবহারকারীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আর্থিক সহায়তা না পেলে ভবিষ্যতে ডায়বেটিক রোগীদের সুষ্ঠু সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।