সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আলহেরা আলিম মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার বিরুদ্ধে এতিমদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ | চ্যানেল খুলনা

আলহেরা আলিম মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার বিরুদ্ধে এতিমদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের ফকিরহাটে এতিম শিশুদের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। পিতৃ ভালবাসা বঞ্চিত এতিম শিশুদের লক্ষ লক্ষ টাকা বছরের পর বছর আত্মসাৎ করে আসছে ইয়াতিমখানার পরিচালক জোহরা বেগম। উপজেলার টাউন নওয়াপাড়ায় অবস্থিত আলহেরা আলিম মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।এর আগেও একটি অনিয়মের কথা উঠে এসেছিল।যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে।একের পর এক অনিয়ন করেও সাজার বাইরে থেকে যাচ্ছে অপরাধীরা।
জানা যায়, অত্র ইয়াতিম খানায় আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কাতার চ্যারিটি থেকে এতিম শিশুর জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ আসে। আর এই অর্থ আসে শিশুর নামে করা ব্যাংক একাউন্টে,যেখানে পরিবারের মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকে।কিন্তু এই অর্থ এতিম শিশুর পরিবার কখনো হাতে পায়নি।শুধু মোবাইলে দেখে টাকা আসছে আবার দেখে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এতিমের একাউন্ট থেকে অর্থ হাওয়া হয়ে যায় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার শুভদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত ফারুক ঢালীর স্ত্রীর সাথে কথা হলে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়,তার সন্তান আবিদ ঢালী (৮)। পড়ালেখা করেন শুভদিয়া ইউনিয়নের কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীতে।কিছু বুঝে উঠার আগেই পিতাকে হাড়ায় এই শিশুটি।পরবর্তীতে আবিদের মা আল হেরা আলিম মাদ্রাসার ইয়াতিম খানায় ভর্তি করায়।তবে আবিদ ইয়াতিমখানায় থাকেনা।ছোট্র আবিদ বাড়ি থেকেই বাড়ির পাশের স্কুলে পড়ালেখা করে। বিস্তারিত বর্ণনায় আবিদের মা বলেন,তার একাউন্টে কাতার চ্যারিটি থেকে আবিদ ঢালীর ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারে ধাপে ধাপে, ৯৩০০,৯২৯৪,৩১০০০,১৮৫৪৯,১৩৩৯৬,
সর্বোমোট ৮১ হাজার ৫৩৯ টাকা ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়।আর এই টাকা A/C401**002442অত্র একাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়।যেখানে আবিদ ঢালী ইয়াতিমখানায় থাকেনা সেখানে তার পিছনে কোন খরচ ও বহন করতে হয়না কর্তৃপক্ষের। কিন্তু যদি এই অর্থ সেই শিশুর পিছনে ব্যাবহার না হয় তবে এই অর্থ গেলো কোথায়?
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আবিদের মা ইসলামী ব্যাংক ফকিরহাট শাখায় যোগাযোগ করলে তাকে বলা হয় এই টাকা ইয়াতিমখানা কর্তৃপক্ষের একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিয়েছে।পরে আবিদের মা ইয়াতিম খানার পরিচালক জোহরা বেগমের শরণাপন্ন হলে তিনি বলেন,এই টাকা আমাদের,আপনার ছেলের জন্য না।আর ম্যাসেজ ভূলে চলে গেছে।পরবর্তীতে আবিদের মা যখন বেশিই কথা বলে তখন পরিচালক জোহরা বেগম ছেলের নাম কেটে দেবার হুমকি দিলে সেখান থেকে চলে আসেন।
মাদ্রাসায় এতিম শিশু কালেকশন করে দেয় গিয়াস নামের এক ব্যাক্তি, আবিদের মা তার সাথে কথা বললে গিয়াস ম্যাসেজ গুলো দেখতে চাই কিন্তু আবদের মা ম্যাসেজ গুলো না দেখিয়ে বলে আমাদের নামে যে টাকা আসছে সেগুলো দেন। আমাদের পুরো টাকা না দেন অন্তত কিছু টাকা দেন যাতে আমরা বাচতে পারি। পরে আবিদের মাকে ডেকে ৩০০০ টাকা প্রদান করে গিয়াস।
আবিদের মায়ের বক্তব্যে উঠে আসে আরো কিছু তথ্য,তিনি বলেন,আমার থেকে প্রায় ১১ টা সই নিছে জোহরা ম্যাডাম।আমি জানতে চাই কিসের জন্য এত সই? তখন আমাকে বলে,আপনার ছেলের জন্য টাকা আসবে এজন্য বই করে দিচ্ছি। কিন্তু আমরা আজ অবদি কোন টাকা পাইনি,শুধু ম্যাসেজে দেখি টাকা আসছে আবার সেই টাকা নিয়ে গেছে।আমাদের রোজার ঈদে চাল,ডাল,তেল আর কোরবানীর ঈদে ২ কেজি মাংস দিছে।এছাড়া কোন টাকা পয়সা দেইনি আমাদের।
শুধু আবিদের মা নই, একই এলাকার রাকিবুল (৯) সে আলহেরা আলিম মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র।তার বাবাও মারা গিয়েছে প্রায় ৮ বছর আগে। তাদের ফোনেও টাকা আসে আবার নিয়ে নেই।বারবার এমন হচ্ছে দেখে রাকিবুল এর মা গিয়াস কে ম্যাসেজ দেখাতে গেলে কৌশলে ম্যাসেজ গুলো ডিলেট করে দেয়।
এদিকে উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে দোকানে দোকানে পানি দেয় আহাদের মা। আহাদের বাবা মারা গেছে ৯ বছর।আহাদের মায়ের থেকেও অনেক গুকো সই নেই জোহরা বেগম।তার ভাষ্যমতে আমাকে গত বছর কিছু টাকা দিয়েছিল কিন্তু তারপর থেকে আর কোন টাকা দেইনি,শুধু চাল,ডাল,তেল দিছে।আমার ছেলেকে ১০ টা টাকাই কখনো তারা দেইনি।
জানা যায়,ইয়াতিম খানার পরিচালক জোহরা বেগম এর মামা জামায়াতের নায়েবে আমির গোলাম পরোয়ার। তার সহযোগিতায় কাতার চ্যারিটি আনার পর থেকেই চলছে এতিমের টাকা হরিলুট।
এব্যপারে জোহরা বেগমের সাথে মূঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে বলেন,আমি কোন কিছু আপনাদের বলবোনা। আপনারা সভাপতির সাথে কথা বলেন। মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার সভাপতি হ্যামকো গ্রুপের মালিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,আমি এ ব্যাপারে জানি। আর এই অর্থ আমরা এতিমের খাওয়া দাওয়ার জন্যই খরচ করি।তিনি আরো বলেন,সামনা সামনি না বুঝালে আপনারা বুঝবেন না।আমি অফিসে আসলে আপনাদের সামনা সামনি বুঝাবো।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল,যেসকল এতিম শিশুরা ইয়াতিমখানায় থাকেনা তাদের কিসের খাওয়া দাওয়ার খরচ? এই অর্থ যদি এতিমের পিছনেই খরচ করার হত তবে ইয়াতিমখানার একাউন্টে না এসে কেনো যার যার একাউন্টে আসে? আর কেনোইবা ইয়াতিমখানা কর্তৃপক্ষ লুকোচুরি করে ম্যাসেজ ডিলেট করার পায়তারি করে? কেনোইবা এক পরিবারকে ৩০০০ টাকা দিলো বাকীদের না দিয়ে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর সংবাদের ২য় পর্বে উপস্থাপন করা হবে। এতিম শিশুরা এমনিতেই পৃথিবীর হাজারও কষ্ট নিয়ে বেচে অাছে।তার উপরে অাবার এই এতিমের টাকা যারা অাত্বসাৎ করে তারা কি ধরনের মানুষ?  মানুষ তো মানুষের জন্য একটু সহানুভূতি কি এতিম শিশুরা পেতে পারে না?

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের ওপর ডিম নিক্ষেপ

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

কালীগঞ্জে ভারতীয় গরু আনতে গিয়ে যুবক আটক

পাটের ব্যাগ পুনরায় সর্বত্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছি : সাখাওয়াত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।