চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃডাঃ শেখ বাহারুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ১০ অক্টোবর স্থানীয় সংবাদপত্রে ‘জেলা আ’লীগের জরুরি সভায় ডাঃ শেখ বাহারুল আলম দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার’ শিরোনামে সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি তার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উল্লেখিত ফেসবুক স্ট্যাটাস্ এ আমি আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আ’লীগ বা খুলনা জেলা শাখার বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনি। প্রধানমন্ত্রী ও দেশের বিরুদ্ধে কোন কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না। বরং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক আচারনের কথাই বলা হয়েছে। দেশের পক্ষে কথা বলা কখনই দলের বিরুদ্ধে কথা বলা এক নয়।
তিনি আরও বলেন, আমাকে বহিষ্কার করার পূর্বে উল্লেখিত বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন পত্র মারফত জানানো হয়নি। আমাকে মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়নি, এমনকি এ বিষয়ে দলীয় কোন তদন্তও হয়নি। যে সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা পূর্ব নির্ধারিত ছিল না এবং কোন এজেন্ডাও ছিল না, থাকলে আমি সভায় উপস্থিত থেকে অভিযুক্ত বিষয়ে আমার বক্তব্য প্রদানের সুযোগ পেতাম।
ডাঃ বাহার আরও বলেন, সভাপতি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে আক্রমনের মত হিংস্র সিদ্ধান্তের আশ্রয় নিয়েছে, যা অনভিপ্রেত। আসন্ন জেলা আ’লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি তার একছত্র আধিপত্য নিশ্চিত করার মানসে বাংলাদেশ তথা দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল কামনায় আমার ভাবনাকে বিকৃতভাবে সভায় উত্থাপন করা হয়েছে। আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে লিপ্ত হয়েছেন।
ডাঃ বাহার দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থি অসাংগঠনিক ও স্বেচ্ছাচারী এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত আমার স্ট্যাটাসটি পড়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে এর অর্থ বুঝে খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে উল্লেখিত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
তিনি আরও বলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ৭১’ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ১৯৭১ গণহত্যা আর্কাইভ ও জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে দলীয় কর্মী, পেশাজীবী বুদ্ধিজীবী, শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধু’র রাজনৈতিক দর্শন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চলিত করতে পেরেছি।
ডাঃ বাহার বলেন, দলের জেলা সভাপতি কর্তৃক গৃহিত এই ধরনের অসাংগঠনিক ও অরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আমার বিরুদ্ধেই নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হয়।