বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তার বিরুদ্ধে দেয়া হয় রাজাকারের অভিধা। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে যে কাজটা করা দরকার ছিল আওয়ামী লীগের নেতারা সেটা করেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি বরং যুদ্ধের গল্প শুনেছে। আর শহীদ জিয়াউর রহমান ইতিহাস সৃষ্টি করে নায়ক হয়েছেন। তিনি যুদ্ধের গল্প তৈরি করেছেন। এজন্যই আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা অপপ্রচার চালায়।
‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার রাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এই সভার আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, যুদ্ধের সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বন্দি। আরেকজন নেত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানিদের রিলিফ খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এখানেই তফাতটা।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের গোড়াপত্তন করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে কোনো কিছুই হতো না। তার বক্তব্য বহু মানুষ নিজ কানে শুনেছেন। তার বক্তব্যেই সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। বিশ্বের যে কয়টা দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। ৯ মাস সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি এখনও। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা রয়ে গেছে এখনও।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন, আওয়ামী লীগের পুনর্জীবন দান করেন। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এ ধরনের বিরাট সাফল্যের কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের। আজকে ডিজিটাল আইন ও কালাকানুন করে মানুষকে দমানো যায় না। নতুন প্রজন্ম কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে ঠিকই জানতে পারছে যে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আসল হিরো।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনটির বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।
বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার মীর হেলালের উপস্থাপনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ডা. হারুন আল রশিদ, ড. একে ফজলুল হক ভুঁইয়া, কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা, জেডআরএফের প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, ডা. শেখ মো. ফরহাদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এছাড়াও সভায় ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড. সাবিরুল ইসলাম, ডা. এমএ সেলিম, ড. তৌফিক জোয়ার্দার, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, আহাদ আহমেদসহ শতাধিক নেতারা অংশগ্রহণ করেন।