রুমিন ফারহানা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের সকল ব্যর্থতাকে ছাড়িয়ে গেছে করোনাকালীন ব্যর্থতা। শুরু থেকে করোনা পরীক্ষা, মাস্ক, পিপিই, হাসপাতাল শয্যা, অক্সিজেন সরবরাহ, আইসিইউ, প্রণোদনাসহ সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা এই কঠিন সময়কে কঠিনতর করেছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পৃথিবীতে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে নকল করোনা সার্টিফিকেট বিক্রি হয়েছে। এই সবকিছুর পরে এখন যুক্ত হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি না করে বেক্সিমকোর সঙ্গে চুক্তি করার কারণে বাংলাদেশকে ভারতের তুলনায় ৪৭ ভাগ বেশি দামে করোনা টিকা কিনতে হচ্ছে। তাতে ৩২৫ কোটি টাকা যাবে কোম্পানির পকেটে।
তিনি দাবি করেন, মিথ্যা হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠানো, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে দেশে ফিরতে না দেয়া এবং দলের মহাসচিবকে দফায় দফায় জেলে পাঠানো সবকিছুই হয়েছে বিএনপিকে ধ্বংস করে ফেলার উদ্দেশ্যে।
বিএনপির এই সংসদ সদস্যদের এসব অভিযোগের কড়া জবাব দেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি হচ্ছে জেনারেল জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কে? সেটি তো আপনারাই (বিএনপি)। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনী, স্বাধীনতাবিরাধী, একাত্তরের গণহত্যাকারীদের নিয়ে জোট করে, মন্ত্রী করে তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয়- তারা কী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি?
তিনি বলেন, তারা (বিএনপির এমপি) আইএমএফসহ কতকগুলো ডাটা দেন এবং বিভিন্ন সংগঠনের কথা বলেন। এসব ভুঁইফোড় সংগঠন যেমন বাংলাদেশে আছে, তেমনি সারা পৃথিবীতে আছে। এদের ফান্ড করলে তারা যে কোন রিপোর্ট আপনাকে তৈরি করে দেবে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, সুযোগ পেলেই তারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে! নির্বাচন করেন না কিন্তু সংসদে ঠিকই এসে বসেন, নির্বাচনের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এতোই যদি নির্বাচন খারাপ হয়ে থাকে তবে এমপি হিসেবে কেন সুযোগ-সুবিধাগুলো নিচ্ছেন? কেন ১০ কাঠা জমির আবেদন করেছিলেন? জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোটের নির্বাচন? ১১০ ভাগ হ্যাঁ ভোট, না ভোট একটিও পড়েনি। ওই নির্বাচন আপনারা চান? এমন নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ হতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান কত হাজার মুক্তিযোদ্ধকে হত্যা করেছে, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কত অফিসারকে কোর্ট মার্শাল দিয়ে হত্যা করেছে, অপরারেশন ক্লিনহার্ট করে কত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হত্যা ও নির্বাচন ঠেকানোর নামে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।