সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :: সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ই নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার সুভদ্রাকাটি গ্রামের শওকত আলীর পুত্র ১০ নং প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতাপনগরের আমিনুর রহমান এর পুত্র জাকির হোসেন একসময়ের তুখোড় বিএনপি নেতা ছিলো। তার পিতা ছিলেন জামায়াত ইসলামের সহযোগী। তৎকালীন উপজেলা সভাপতি ডা: মোকলেছুর রহমানকে জিম্মি করে প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হয় জাকির। এরপর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। তার কথা না মানলে মিথ্যা মামলা, খুন জখমের হুমকি এবং চাঁদাবাজি শুরু করে। একপর্যায়ে অস্ত্র এবং ক্যাডার বাহিনীর সহযোগিতায় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ইউনিয়নের খাস জমি দখল, অসহায় মানুষের সম্পত্তি দখল, এলাকার মৎস্যঘের লুটপাট লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে প্রতিটি বাড়ি থেকে ৫শ’ টাকা করে প্রায় ১৬ হাজার পরিবারের কাছ থেকে আদায় করে আত্মসাত করে। ৩শ’ পরিবারের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার নাম করে ২০ হাজার টাকা করে আদায় করে। কিন্তু মাত্র কয়েকটি ঘর দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাত করে। এছাড়া তার সহায় সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এবং দাবী করা হয়েছে অবৈধ উপায়ে উক্ত সহায় সম্পদ অর্জন করা হয়েছে। তার ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না অনেক নির্যাতিত নারীরা। জাকিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তিনি জাকিরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক পত্রদূতকে বলেন, তিনি বা তার পরিবারের কেউ বিএনপি জামাতের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মোঃ সোহরাব হোসেন বছরখানেক পূর্বে সাতক্ষীরার এল্লারচরে এক নারী ধর্ষণ চেষ্টায় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়লে তাকে পুলিশে দেয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়। একারণে দলের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। সর্বশেষ সোহরাবের ওয়ার্ডে নতুন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এখন আর সে কমিটিতে নেই। চেয়ারম্যান জাকির আরো বলেন, ঘুর্ণিঝড় আইলার পর থেকে এলাকার ৪০০ মানুষ বেড়িবাধে বসবাস করে। ঐ লোকজনকে পুর্নবাসনের জন্য ১৫ একর খাসজমি চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত জমি সোহরাব জবরদখল করছে। আমি জমি উদ্ধারের চেষ্টা করার কারণে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ করা হয়েছে।