পিরোজপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কুমারখালী এলাকায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মো. আজাদ জানান, সম্প্রতি সিভিল সার্জন অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) চুরির ঘটনা ঘটে। ওই চুরির মামলার আসামি মেহেদী হাসান সিকদার (২৭) ওরফে হাসান সিকদারকে গ্রেফতার করতে রোববার রাত ২টার দিকে পুলিশ কুমারখালী এলাকায় যায়। এ সময় ওই এলাকার ১০-১২ জনের সন্ত্রাসী দল পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
তিনি জানান, হামলায় অভিযানে থাকা এসআই সৈকত হাসান সানি, এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল হাসান ও পুলিশ সদস্য মারুফ হোসেনসহ পাঁচজন জখম হন। হামলায় গুরুতর আহত পুলিশের এএসআই মো. খায়রুল হাসান ও পুলিশ সদস্য মারুফ হোসেন জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কুমারখালী এলাকার আনোয়ার হোসেন শিকদারের ছেলে মেহেদী হাসান শিকদার ওরফে হাসান সিকদার (২৭), সাহা শিকদারের ছেলে সোহেল শিকদার (৪০), মারুফ খানের ছেলে সৌরভ (২০), আবুল বাসার শেখের ছেলে রেজাউল শেখ (২৫), সোহেল শিকদারের ছেলে শুভ (২০), আবুয়াল কাজীর ছেলে জুয়েল কাজী (২৫), পৌরসভার নরখালী এলাকার ওসমান (৩০) ও শেখপাড়ার শিবু দাসের ছেলে শাওন দাস (২২)।
এ ঘটনায় সোমবার এসআই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা রুজু করেছেন।