বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিএনপিসহ সাতটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০১৯ সালের (পঞ্জিকা বছরের) আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারেনি। তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে আরও একমাস সময় বাড়িয়েছে ইসি। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই সাতটি রাজনৈতিক দল ইসিতে হিসাব জমা দিতে পারবে।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব রওশন আরা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিএনপি ছাড়া বাকি যে দলগুলো এ সুযোগ পাচ্ছে তারা হলো— জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফ্রন্ট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
ইসি সূত্র জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়েরর হিসাব দলগুলোকে জমা দিতে হয়। তবে এ বছর ৩১ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ছিল ঈদের ছুটি। তাই আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ৩ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ সাতটি দল ইসিতে এই হিসাব জমা দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ইসির সহকারী সচিব রওশন আরা সাংবাদিকদের বলেন, এ বছর করোনার কারণে অনেক অফিস বন্ধ ছিল। এর আগের বছরগুলোতেও হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর নজির রয়েছে। তাই বিএনপিসহ ইসিতে নিবন্ধিত যেসব দল এখনো আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়নি, তাদের জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের এই হিসাব জমা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আরপিও বলছে, পরপর তিন বছর কোনো দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে দলের নিবন্ধন বাতিলও করা যেতে পারে।
এ বছর নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার দু’দিন আগে নির্বাচন কমিশনে দলের গত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২৯ জুলাই আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ইসিতে এই হিসাব দাখিল করেন। দাখিল করা হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সাল শেষে আওয়ামী লীগের তহবিলে মোট জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০১৯ সাল শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরে আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।