দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, র্যাব, পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি ও পুলিশের বেশ কিছু ইউনিট রাতভর অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে জেলার হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে আসাদুল হক (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর এলাকায়। বাবার নাম আমজাদ হোসেন।
ওসি জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাব রংপুর-১৩ এর একটি দল যৌথভাবে অভিযযান চালিয়ে শুক্রবার ভোর ৪টা ৫০মিনিটের দিকে হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে আসাদুলকে গ্রেফতার করে। তাকে রংপুরে র্যাব-১৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাহাঙ্গীর (৪২) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি ঘোড়াঘাটের রাণীগঞ্জ এলাকায় বলেও জানান ওসি।
এদিকে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ঢুকে তাকে ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘোড়াঘাট থানায় এ সংক্রান্ত এজাহার দায়ের করেন ইউএনওর ভাই মো. শেখ ফরিদ উদ্দিন। এজাহারে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা সরকারি আবাসিক ভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।