আন্তর্জাতিক ডেস্কঃআনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪৭ বছরের সদস্যপদ ছাড়লো যুক্তরাজ্য। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টায় এই বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। যুক্তরাজ্য জুড়ে একদিকে যেমন ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি উদযাপন হয়েছে তেমনি বিক্ষোভও করেছে ব্রেক্সিট বিরোধীরা।
গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। শুক্রবার রাতে সেখানে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। আর লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে পার্টি করেছে ব্রেক্সিটপন্থীরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, অনেকের জন্য এটি বিস্ময়কর আশা জাগানিয়া মূহুর্ত, এমন মুহূর্ত যেটি তারা কখনো আসবে বলে ভাবেনি। অনেকেই রয়েছেন যারা ক্ষতি ও শঙ্কা অনুভব করছেন। তৃতীয় একটি পক্ষও রয়েছেন- সম্ভবত তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি- যারা এটা ভেবে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যে, এই রাজনৈতিক গোলযোগ কখনো শেষ হবে না।
জনসন বলেন, আমি সেসব অনুভূতি বুঝি এবং সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্বটাও বুঝি-আমার এখন দায়িত্ব হচ্ছে পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাইকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ইউরোপ ত্যাগের শেষ ক্ষণটি গণনার সময় যুক্তরাজ্য জুড়ে পাব ও সামাজিক ক্লাবগুলোতে ব্রেক্সিট পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্লামেন্ট স্কয়ারে জমা হয় শত শত মানুষ। এসময় তারা দেশাত্মবোধক গান গায়। নাইজেল ফারাজের মতো শীর্ষ ব্রেক্সিটপন্থীদের বক্তৃতায় সমর্থন দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে তারা।
ফারাজ বলেছন, আজ আমরা এমনভাবে উদযাপন করব যেমনটা আগে আর কখনো করিনি। আমাদের মহান জাতির আধুনিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত।