শাহজালাল বিমানবন্দরের স্ক্যানারে নিজের পিস্তল ও গুলি ধরা না পড়া নিয়ে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই ঘটনা প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন অসত্য কথা বলছেন।
তবে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিকেই অসত্য বলছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, আমি যা বলেছি তাই ঠিক। চাইলে মন্ত্রণালয় বা কর্তপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হতে পারে।
গত মঙ্গলবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে পিস্তল ও গুলি ধরা না পড়ার ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও কথা বলেন কাঞ্চন।
আজ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ওই ঘটনার বিষে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইলিয়াস কাঞ্চন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলছেন, ‘ব্যাগে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তলটি বাসায় রেখে আসতে ভুলে যাই। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের প্রবেশ গেটে ব্যাগটি তল্লাশি করা হয়। নভোএয়ারের বোর্ডিং কাউন্টারে এসে ব্যাগে থাকা পিস্তলের কথা মনে পড়ে । স্ক্যানিং মেশিনে পিস্তল ধরা না পড়ায় আমি অবাক হই। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। তাৎক্ষণিক শাহজালাল কর্তৃপক্ষ আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে।’ চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘প্রথম স্ক্যানার পার হওয়ার পর মনে পড়ায় আমিই তাদের কাছে গিয়েছি। কেন স্ক্যানারে বিষয়টি ধরা পড়েনি, তা নিয়ে আমি তাদের কাছে অভিযোগ করেছি।’
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঘটনার বিষয়ে জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সংবাদমাধ্যমে অন্যায়ভাবে একের পর এক অসত্য কথা বলছেন।’
ওই দিনের ঘটনা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইলিয়াস কাঞ্চনের ল্যাপটপের ব্যাগে থাকা পিস্তল ও গুলি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের অ্যান্টি হাইজ্যাকিং পয়েন্টে স্ক্যান করার সময় তা মেশিনে শনাক্ত হয়। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি তাঁর ভুল স্বীকার করেন। তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাঁকে বিমানবন্দরের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিস্তলটি বহন করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ওই স্থান থেকে ফেরত যান। পরবর্তী সময়ে তিনি (কাঞ্চন) যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিমানে চট্টগ্রামে যান।’