মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সেন্ট্রাল কমান্ডের আওতায় ঘনিষ্ঠমিত্র ইসরাইলকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার এক ঘোষণায় পেন্টাগন এমন তথ্য দিয়েছে।
ইসরাইল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা যুক্তরাষ্ট্র রাখছে, তা আর ইউরোপীয় কমান্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে না বলেই আভাস দিয়েছে পেন্টাগনের এই পদক্ষেপ।
সম্প্রতি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদারদের স্বার্থ সুরক্ষা ও ঝুঁকি কমাতে আমরা সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি।
‘ইসরাইলের সঙ্গে তার আরব প্রতিবেশীদের মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাসের পর আব্রাহাম চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সবার একই শত্রুর বিরুদ্ধে প্রধান মিত্রদের সঙ্গে একমত হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে।’
শত্রু বলতে এখানে ইরানকে বোঝানো হয়েছে। শিয়াসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্ব নিয়ে গত কয়েক দশক ধরে আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের বৈরী সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু দখলদারিত্ব বন্ধ না হলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে সেই বৈরিতা এখন মিত্রতায় রূপ নিয়েছে।
ইসরাইলকে ইউরোপীয় কমান্ড থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কমান্ডের আওতায় নিয়ে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য নিরাপত্তা সহযোগিতা সহজতর হবে।
এমনকি উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
কিন্তু ইরাকের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পেন্টাগন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কৌশলগত অংশীদার ইসরাইল। এই উদ্যোগ মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ আরও বাড়াবে।