আন্তর্জাতিক ডেস্কঃইসরায়েলে হামলার জন্য ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসকে অনুমতি দিয়েছে তুরস্ক। হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকে এই অনুমতি দেয় আঙ্কারা। এরই মধ্যে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের গুপ্তহত্যার জন্য হামাসের কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফে এই সংবাদ প্রকাশিত হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেতজ।
হারেতজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা ও হামলার চালানোর জন্য হামাসকে অনুমতি দিয়েছে তুরস্ক। হামাসের শীর্ষ নেতাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের গুপ্তহত্যার জন্য হামাসের কয়েকটি প্রচেষ্টা এরই মধ্যে ব্যর্থ হয়েছে। এসব প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ইসরায়েলি বাহিনী। আর সেখান থেকেই এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জেরুজালেমের সাবেক মেয়র নির বরকত, লিকুদ পার্টির সংসদ সদস্য ইয়াহুদা গ্লিক এবং সাবেক পুলিশ কমিশনার রনি আল শেইখকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কোনো এক কারণে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয় হামাস।
হামাসের সিনিয়র নেতা জাকারিয়া নায়িবকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে তুরস্ক। একই সঙ্গে অস্ত্র প্রশিক্ষণেরও আমন্ত্রণ জানায়। বিনিময়ে তুরস্কের শর্ত ছিল, ইসরায়েলে গুপ্তহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করতে হবে।
ইসরায়েল বার বার সতর্ক করার পরও গত সপ্তাহে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। টেলিগ্রাফ বলছে, হামাসের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে তুর্কি এজেন্টরা। আর পুরো বিষয়টি নিজেই পর্যবেক্ষণ করছেন এরদোগান। এ সম্পর্কে তুর্কি প্রেসিডেন্ট আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন- ফিলিস্তিনি ভাইদের সমর্থন অব্যাহত রাখব আমরা।
এ দিকে তুরস্কের এমন আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বজায় রাখার পরও হামাসকে ইসরায়েলে হামলার জন্য অনুমতি দিয়েছে তুরস্ক। এটা খুবই উদ্বেগের।
অবশ্য তুরস্কের কূটনৈতিক সূত্র টেলিগ্রাফের এই প্রতিবেদনে প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছে তারা। আঙ্কারা বলছে, তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ করতে চাচ্ছে ইসরায়েল। আর হামাস কখনোই সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। তারা ফিলিস্তিনের বৈধ রাজনৈতিক সংগঠন।