ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ ইমরান বলেন, দেশে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার কোন বিকল্প নেই। আর তার জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ইসলামপন্থীদের এক কাতারে আসতে হবে, গড়ে তুলতে হবে শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেন ইসলামপন্থিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখই সময়। ইসলামপন্থিরা ঐক্যবদ্ধ হলে কোন শক্তি তাদের রুখে দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ রুপসা উপজেলা শাখার উদ্যোগে ৩৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে সকল ইসলাম পন্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানিয়ে তিনি বলেন এই দেশে যারা অতীতে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল তাদেরকে মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। দেশের জনগণ এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় নুতন মুখ চায়। জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে ইসলামী আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
রুপসা উপজেলা সভাপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ শেখের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাঃ রাতুল ইসলামের পরিচালনায় ব্যাংকের মোড়ে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি মোঃ ফরহাদ মোল্লা বলেন ইসলাম দেশ ও মানবাতার কল্যাণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন আগামী দিনেও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন শেখ মোঃ ইউসুফ আলী, মাওলানা আব্দুস সাত্তার হালদার, হাফেজ আব্দুল হালিম, আব্দুল হাফিজ শেখ, রমজান আলী মল্লিক লিটন, মাওঃ হারুন অর রশিদ, মাওঃ মাসুদুর রহমান রউফি, মাওঃ মুফতি নাজমুস সাকিব, মাওঃ জাহিদুর রহমান, আলহাজ্ব আনিসুর রহমান,মাওঃ আনিসুর রহমান, মাওঃইউসুফ আলী, সেলিম শেখ, মোহাম্মদ আল-আমিন, সোহরাব মুন্সী,আরজান মেম্বার, মুফতি মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম বিশ্বাস, আখতারুজ্জামান আক্তার, হাফেজ নাজমুস সাকিব, সাকিবুল হাসান, আলমগীর সরদার, মাসুদ রানা বিশ্বাস,মুফতি হেলাল উদ্দিন শিকারী, মৌলভী আসলাম সেখ, আলহাজ্ব গাজী জাহিদুর রহমান, হাফেজ আব্দুল কাদের, হোসেন মল্লিক, শরিফুল ইসলাম, মাওলানা জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কর্মীসহ সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।