তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মাধ্যমে দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২ নভেম্বর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে তারিখ ঠিক করেন।
গত ৩০ আগস্ট রাতে বাড্ডা থানায় এ আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া।
মামলাটির অভিযোগে বলা হয়, বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি জানার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর।
প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মাধ্যমে দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগে ডা. সাবরিনার দুইটি এনআইডি ব্লক করে দেওয়া হয়।