ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, সিপিপি’র (ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) ভলান্টিয়ারসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রস্তুত আছেন। নির্দেশনার ভিত্তিতে কাজ করবেন তারা।
আজ সোমবার (২৪ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তিনি কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের টিম কাজ করছে। পরিস্থিতি মনিটরিং করে আপডেট জানানো হবে। বিকেল নাগাদ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকায় শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে ভলান্টিয়াররা প্রস্তুতি নিয়ে আছেন। সবাইকে শেল্টারে আনতে বলা হয়েছে। এবার আমরা টার্গেট রাখব মৃত্যুহার যেন জিরো হয়।
প্রস্তুতিমূলক এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শামসুদ্দীনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।