পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ ও মোনাজাত শেষে উপস্থিত মুসল্লিদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের অংশ হিসেবে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলির দৃশ্য ছিল স্বাভাবিক চিত্র। মহামারি করোনার সংক্রমণজনিত ঝুঁকির কারণে সরকারি নির্দেশনায় গত চার ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি দৃশ্য একেবারেই অনুপস্থিত।
মসজিদে মুসুল্লিদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসা, দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় ও মোনাজাত শেষে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াই অনেকটা নিষ্প্রাণ ব্যতিক্রম পরিবেশে বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদগুলোর প্রবেশ পথে মুসল্লিদের জন্য মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়।
ভোর থেকে মসজিদগুলোতে থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুসল্লিদের ঈদের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল সাতটায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে সকাল সাতটা থেকে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদ অভিমুখে ছুটে যান। মসজিদের ইমাম নামাজের আগে পবিত্র ঈদুল আজহার তাৎপর্য তুলে ধরে খুতবা পাঠ করেন।
নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে করোনা মহামারির সংক্রমণ, মৃত্যু এবং বিভিন্ন ধরনের মুসিবত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা পেতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও কোরবানির পশুর বর্জ্য যেন যেখানে-সেখানে ফেলা না হয়, সে ব্যাপারে ও মুসল্লিদের অনুরোধ জানানো হয়।
মোনাজাত শেষে নগরবাসী কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানির পর মাংস কাটায় ব্যস্ত এখন সবাই। করোনার কারণে ঘরবন্দি শিশুরা এদিন কোরবানির পশু জবাই দেখতে বাইরে আসে।
গত দুই-তিন দিন শিশুদের আনন্দের সীমা ছিল না। হাট থেকে গরু নিয়ে আসার পর থেকে গরুকে খাওয়ানোসহ বিভিন্ন দায়িত্ব শিশুরাই পালন করে। তাই পশু জবাইয়ের সময় অনেক শিশুর চোখ জলে ভেসে যেতে দেখা যায়।