ঈদুল ফিতরের ছুটির পর আরও ১ সপ্তাহ লকডাউন বা কঠোর বিধি-নিষেধ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, দেশে করোনা সংক্রমণ ও করোনায় মৃত্যুর হার কিছুটা নিম্নগামী হলেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছে সরকার। এ কারণেই চলমান ‘লকডাউন’ ঈদের পরও অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কেউই আগাম মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে আরও ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
তারা আরও জানিয়েছেন, যেভাবে মাখামাখি করে স্বাস্থ্যবিধির চূড়ান্ত লঙ্ঘন করে মানুষজন রাজধানী ছেড়েছেন, তারা আবারও ঈদের পর একইভাবে রাজধানীতে ফিরবেন। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই ঈদের পরে একই শর্তে আরও ১০ দিনের জন্য চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। যারা রাজধানী ছেড়ে গ্রামে গেছেন, এতে যদি তাদের অর্ধেক পরিমাণ মানুষও আটকে রাখা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও সুবিধা পাওয়া যাবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে চলমান ‘লকডাউন’ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে আর এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর।
এদিকে চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন পালন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। কয়েক ধাপে বাড়িয়ে চলমান সেই লকডাউনের মেয়াদ ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সময় আন্তজেলা বাস সার্ভিস, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।