অনলাইন ডেস্কঃআসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে খুলনাঞ্চলের সড়ক-মহাসড়ক মেরামত জোরাতালী শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। তারা নিজেদের সংরক্ষিত পণ্য সামগ্রী (বিটুমিন, খোয়াসহ অন্যান্য দ্রব্য) ও জনবল দিয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ করছেন। অথচ প্রায় বছরজুড়েই এসব সড়কের অনেকাংশই চলাচলের অনুপযোগী ছিল। তখন তাদের পাওয়া না গেলেও ঈদের সময় সব সরকারী দপ্তর বন্ধের সুযোগ কাজে লাগায় খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এর আওতাধীন ফেরী ডিভিশন । তারা এই কাজটি করে শুধু নিজেদের স্বার্থে । কেননা এই কাজ করতে নেই কোন টেন্ডারের ঝামেলা । এই সময়টিতে তরা নিজেদের মত করেই কাজ করেন এবং সরকারের টাকা খরচের অজুহাত তৈরি করেন ।ফেরী ডিভিশনেও চলে যান্ত্রিক মেরামতের নামে টাকা খরচের পাশাপাশী ফেরী গ্রিজার ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াদের যন্ত্রাংশ ক্রয়ের ভাওচার খাওয়ার প্রতিযোগিতা ।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় সড়ক ও জনপথের আওতায় প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। দীর্ঘ এই সড়কের মধ্যে খুলনা জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা মহাসড়কের অবস্থা সন্তোষজনক বলে দাবি করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
সূত্রমতে, সারা বছরই সড়ক পথে জনসাধারণ চলাচল করলেও ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ নিজের গ্রামে ফেরে। এ কারণে সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। যাত্রীরা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবাহনে চলাচল করে থাকে। জরাজীর্ণ সড়কের কারণে চলাচলে তাদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর কর্তৃপক্ষও ঈদের সময় জরাজীর্ণ সড়ক মেরামতের জন্য অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি তৎপর হয়। ঈদুল আযহার আর বাকি রয়েছে মাত্র ২ দিন। তাই খুলনার সড়কগুলো মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সড়কগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে রোববার রূপসা সেতু এলাকায় তাদের সংস্কার কাজ করেছে। মঙ্গলবার খুলনা যশোর সড়কের মানিকতলা এলাকায় সংস্কার কাজ করবে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সড়ক বিভাগ জরাজীর্ণ সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার খুলনা-মোংলা মহাসড়কের দিগরাজসহ বিভিন্ন স্থানে ইট ফেলে সাময়িক সংস্কার করতে দেখা গেছে সড়ক বিভাগের কর্মীদের।
খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (এসডিই) মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, খুলনা জেলায় সড়ক বিভাগের আওতায় যে সড়কগুলো রয়েছে তার অবস্থা অনেক সন্তোষজনক। যেখানে কিছুটা নষ্ট হয়ে গেছে সেটা সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের এই পদক্ষেপ শুধু ঈদে ঘরমুখো মানুষ সড়কে কোনরুপ বিপদের সম্মুক্ষিন না হয় এবং নিরাপদ সড়কে ভোগান্তি লাগবের নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ।।