২০২০ সালের ১ও ২ জানুয়ারি ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানানোর কারণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল, প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীকে চাকরীচ্যুত করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এ বিষয়ে করা রীটে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আদেশ পেয়েছেন তিন শিক্ষক।
গেল ২৮ জানুয়ারি ২০২১ইং তারিখে বরখাস্ত ও অপসারণ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ ফেব্রুয়ারি করা রীটে শিক্ষকরা এ আদেশ পান। রিটের শুনানী নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উচ্চ আদালত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশের বিরুদ্ধে রুল নিশি জারি করেছেন এবং তিন শিক্ষকের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেছেন। যেহেতু উক্ত তিন শিক্ষক এখনো তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি, তাই তাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে কোন আইনি বাধা নেই এই মর্মে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহামান্য উচ্চ আদালতের এই আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন পূর্বক অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। তারা বলেছেন, উচ্চ আদালত এই বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দ্রুততর সময়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই ভূমিকা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।
একই সঙ্গে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেন তারা মহামান্য উচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই তিনজন শিক্ষকের বরখাস্ত ও অপসারণ প্রত্যাহার করে নিয়ে তাদের সম্মানের সঙ্গে স্বপদে বহাল করবেন। শিক্ষার্থীদের ৫দফা দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তারা যে আদর্শের পরিচয় দিয়েছেন তা বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনাপ্রসূত দর্শন থেকে উৎসারিত। এই তিনজন শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সর্বতভাবে উজ্জীবিত। একারণে তারা শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা তাদের শিক্ষকদের এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি, থাকবো। দশম দিনের মতো শিক্ষকদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা প্রতিবাদ কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে।