উচ্চ শিক্ষা নেয়ায় ভোলার বোরহানউদ্দিনে স্ত্রীর চুল কেটে পোড়ান স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় স্বামীসহ ৪ জনকে আসামি করে স্ত্রী খাদিজা বেগম মামলা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলামের বাবা তৈয়বুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন সাইফুল। তিনি বোরহানউদ্দিন দারুস সুন্নাত মডেল একাডেমির (মাদ্রাসা) সহকারী শিক্ষক।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. মাজাহারুল আমিন জানান, সাইফুলের খোঁজ করা হচ্ছে।
এদিকে সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, তার স্ত্রী কামিল (মাস্টার্স মর্যাদা) পরীক্ষা দিয়েছে। এটি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা নেবে কেন? উচ্চ শিক্ষা নেয়া মেয়েরা ধর্মীয় নিয়মকানুন মানতে চায় না। তার স্ত্রী সময়মতো নামাজ পড়েন না। সঠিক নিয়মে তার জন্য রান্না করেন না ও খাবার বিতরণ করেন না। স্ত্রীর চুল কেটে দেয়ার বিষয় তিনি স্বীকার করেন। তবে চুল উঠে যায় বলেই তিনি কেটে দেন।
এদিকে সাইফুলের এমন কথাবার্তাকে অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন দারুস সুন্নাত মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফয়েজুল আলম। তিনি অবশ্য সাইফুলের স্ত্রীকে ফরহেজগার নারী বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, খাদিজা বেগম আয়শা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। স্বামী সাইফুলের চাপে পড়ে দুমাস আগে ওই চাকরিও ছেড়ে দিতে হয় তাকে। ৬ মাস আগে ১৪ এপ্রিল ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘদী ইউনিয়নের কমরউদ্দিন এলাকার মৌলভীবাড়ির তৌয়বুর রহমানের ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর তারা বোরহানউদ্দিনে হেলিপ্যাডের কাছে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
ফয়েজুল আলম জানান, বিয়ের পর থেকেই নানা উপায়ে নির্যাতন শুরু করেন বিকৃত মানসিকতার সাইফুল। তিনি আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। ওই স্ত্রী মারা গেছেন। ওই তথ্য গোপান রেখেই বিয়ে করেন খাদিজাকে।
খাদিজার বাড়ি দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ১নং ওয়ার্ডের লেজপাতা গ্রামে। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর চাচার কাছে মানুষ হন তিনি।