রামপাল উপজেলার ২নং ইজলকুড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী বোরহান উদ্দিন মুন্সি ওরফে জেড মুন্সির গ্রহণযোগ্যতা নেই। তিনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার মত কোন জনসেবা মূলক কাজ করেননি। বিস্ময়কার ভাবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক কাজী আসাফুজ্জামান বাবুল। আগামী ২ সেপ্টেম্ব সোমবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বোরহান উদ্দিন জেড মুন্সির পিতা আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামী ছিলেন। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে জেড মুন্সি বর্তমান উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদারের নৌকা প্রতীকের প্রচারণার সময় বাঁধা দেয়। নৌকা প্রতীকের প্রচারপত্র বিতরণ করতে গেলে তার মা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। হরকাতুল জেহাদের নেতা মুফতি হান্নান যে বাড়িতে আশ্রায় নিয়ে ছিল সেই বাড়ির লোকজন তার নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন। তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১২সেপ্টম্বর উজলকুড় পিচপাকার মোড়, ১৩সেপ্টেম্বর বালিয়াঘাটা বাসস্টান্ড এবং ১৪ সেপ্টেম্বর কদমদী স্কুলে নির্বাচনী জন সভায় জেড মুন্সি ও তার বাহিনীরা সাধারন ভোটারদের হুমকি দিয়েছে। তাকে ভোট না দিলে কেন্দ্রে যায়ার প্রয়োজন নেই। ১৫ সেপ্টেম্বর কাজী আসাফুজ্জামান বাবুল এর আনারস প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে। তিনি আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। যাতে ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারতে না পারে এ জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। এ সময় মো.মজিবর রহমার ও মো. দবির উদ্দিন সরদার উপস্থিত ছিলেন।