ছয় মাসেরও বেশি সময় আগে বিশ্বব্যাপী যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন কিম তার দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি তিনি তার দেশের হাজার হাজার নাগরিককে আইসোলেশনে পাঠান। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি ছিল, উত্তর কোরিয়ায় কোনো সংক্রমণ নেই।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃউত্তর কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে যার মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে। রোববার (২৬ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)। ওই ব্যক্তিই উত্তর কোরিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত প্রথম করোনা রোগী।
এই ঘটনার পরপরই দেশটির সীমান্তবর্তী শহর কেইসংয়ে কড়া লকডাউন ও সর্বোচ্চ জরুরি-সতর্ক অবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, একজন ব্যক্তি যিনি ৩ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি ১৯ জুলাই অবৈধভাবে ফের উত্তর কোরিয়ার ফিরে এসেছেন।
এ ছাড়া এই ঘটনার প্রথমদিকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হননি বলে জানানো হলেও পরে নিশ্চিত করা হয়, ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত।
কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, জরুরি এক বৈঠকে কিম নির্দেশ দিয়েছেন কিভাবে ওই ব্যক্তি সীমান্তরক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে বা তাদের হাত করে অবৈধভাবে দেশে ঢুকেছেন তা বের করতে হবে। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তি প্রদান করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ওই দাবির প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্তব্য হলো, কেইসং শহরের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কেউ অন্য দেশে গেছেন এমন কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের জানা নেই।
কারণ হিসেবে তারা বলছে, ওই সীমান্ত এলাকা পৃথিবীর অন্যতম সুরক্ষিত সীমান্ত। যেখানে স্থলমাইন বসানো রয়েছে এবং সেই সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা সব সময় পাহারায় থাকেন।
এ ছাড়া ছয় মাসেরও বেশি সময় আগে বিশ্বব্যাপী যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন কিম তার দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি তিনি তার দেশের হাজার হাজার নাগরিককে আইসোলেশনে পাঠান। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি ছিল, উত্তর কোরিয়ায় কোনো সংক্রমণ নেই।
কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বিপজ্জনক। সন্দেহভাজন ওই করোনা রোগী থেকে বিপর্যয় হতে পারে বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে।