চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যখন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা গ্রহণ করি, সেই উন্নয়ন কাজের একটি আরেকটির পরিপূরক হওয়া উচিত। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সোনারগাঁ-বুয়েট লিংকের হাতিরঝিল অংশের পুনঃঅ্যালাইনমেন্টের উপস্থাপনা দেখার সময় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের আওতায় সোনারগাঁ-বুয়েট লিংকের নতুন অ্যালাইনমেন্টে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে (কুতুবখালী) পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মূল এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের কুতুবখালী পর্যন্ত মূল এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। আর লিংক ও র্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
নতুন অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী, সোনারগাঁ থেকে বুয়েট লিংকের হাতিরঝিল অংশটি হাতিরঝিলের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত বিআইএম ভবনের নিকটবর্তী এক্সপ্রেসওয়েতে গিয়ে শেষ হবে। এছাড়া সোনারগাঁ থেকে বুয়েট লিংকটি পান্থকুঞ্জ ও কাঁটাবন হয়ে পলাশীতে গিয়ে শেষ হবে।
আগের অ্যালাইনমেন্ট অনুসারে, লিংকটি হাতিরঝিলের মাঝামাঝি জায়গায় এবং পান্থকুঞ্জ হয়ে মূল এক্সপ্রেসওয়েতে গিয়ে সংযুক্ত হওয়ার কথা ছিল।ধারণা করা হচ্ছে, এই সংযোগের কারণে পুরান ঢাকা ও ধানমন্ডির বাসিন্দারা বেশ উপকৃত হবেন। এখান দিয়ে প্রত্যেক দিন প্রায় ২০ শতাংশ যানবাহন প্রবেশ করবে।
এ সময় হাতিরঝিল লেকসহ অন্য জলাশয়গুলো রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মতিঝিল এলাকায় বড় একটি জলাশয় ছিল। পাকিস্তানি শাসক আইয়ুব খান সেই জলাশয়টি ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরের বক্স কালভার্টকে ধ্বংস করে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো।
এই প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং সদস্য অধ্যাপক মো. শামসুল হক ও স্থপতি ইকবাল হাবিব যৌথভাবে উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রকল্প পরিচালক এএইচএম শাখাওয়াত আকতার প্রমুখ।