খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে। আর জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি’র মধ্যে তফাৎ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে বলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। স্বপ্নের পদ্মাসেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আশীর্বাদ উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বলে দেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকেনা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ায় দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ উন্নত জীবন-যাপন করছে। তিনি বলেন, দেশের অর্জিত এ অর্জন যাতে ম্লান না হয়ে যায় এবং শেখ হাসিনা যাতে ৫ম বারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারে এ জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রশীদুজ্জামান। সরকারের ধারাবাহিকা বজায় রাখা সহ এলাকার সামগ্রীক উন্নয়নের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করতে হবে। এ জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মী সহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি শনিবার বিকালে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বাগালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ রশীদুজ্জামানের নৌকা প্রতীকের জনসভায় প্রধান অতিথের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার সানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আক্তারুজ্জামান বাবু। প্রধান বক্তা ছিলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামান। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজার সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগনেতা ইঞ্জিঃ অধ্যাপক নিমাই রায়, ইঞ্জিঃ প্রেমকুমার মন্ডল, ডাঃ শেখ মোহাঃ শহীদ উল্লাহ, খায়রুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা কেরামত আলী, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ মাহফুজুর রহমান সোহাগ, আওয়ামী লীগনেতা নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী, জাফরুল পাড়, আনন্দ মোহন বিশ^াস, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল-মামুন লাভলু, রবিউল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, আব্দুস সালাম গাজী, সরদার নজরুল ইসলাম, আছের আলী মোড়ল, প্রভাষক শাহ নেওয়াজ শিকারী, নুরুল ইসলাম কোম্পানি, কওছার আলী জোয়াদ্দার, কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, আব্দুল মান্নান গাজী, সাবেক চেয়ারম্যান আমির আলী গাইন, আব্দুল মজিদ গোলদার সহ কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।