মল্লিক মোঃ জামান: পাঁচ বছর পর আবারও এসে গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সারাদেশের মত বাগেরহাটের রামপালেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। চা এর আড্ডা থেকে চলাফেরার পথে সর্বত্র আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে-কে হচ্ছেন রামপালের নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান। আর এ বছরের উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকা মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থান করছে।
চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ (শেষ) ধাপের ভোট ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে যে, প্রথম ধাপে রামপাল উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও কোন লিখিত কোন নির্দেশনা আসেনি।
এবারের নির্বাচনে রামপাল উপজেলা থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আব্দুর রউফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জামিল হাসান জামু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার নাজমুল কবীর ঝিলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ নুরুল হক লিপন, বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তরফদার মাহফুজুল হক টুকু এবং হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তপন কুমার গোলদার।
রামপাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহনেচ্ছু একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন যে, যেহেতু আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে নির্দিষ্ট করে মনোনয়ন দেয়া হবে না, তাই এ বছর রামপাল উপজেলা থেকে একাধিক প্রার্থী অ়ংশ গ্রহণ করতে পারে। কেউ কেউ বলছেন যে, একাধিক প্রার্থী থাকলে নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে এবং সারারণ মানুষ সহজে তার পছন্দের প্রার্থীকে বেঁছে নিতে পারবে। উপজেলা নির্বাচনে আসলে কত প্রার্থী মাঠে থাকবে, সে জন্য রামপালের জনগণকে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। রামপাল উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেঁছে নিবেন।