চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃকরোনার সংক্রমণ রোধে বিশ্বজুড়েই এখন চলছে সোশাল ডিসটেন্সিংয়ের বাধ্যবাধকতা। হোম অফিসই হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকা নির্বাহের উপায়। আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায়ও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে মোবাইল বা বিভিন্ন অ্যাপে কথা বলা।
এ পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের খরচ বাড়ানো হয়েছে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে। এর সমালোচনা করেছেন সাবেক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাড. তারানা হালিম।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘করোনার সময় মোবাইলে কথা বলা, ভিডিও কল, এ কাজ করা- এখন যেমন সোশাল ডিসটেন্সিংয়ে পরোক্ষভাবে অত্যন্ত কার্যকর, তেমনি মানসিক সুস্বাস্হ্যের জন্য বিভিন্ন দেশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজের সাথে, স্বজনদের সাথে সংযুক্ত থাকতে উৎসাহিত করছে জনগণকে’।
তিনি লেখেন, ‘উল্লেখ্য যে, আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন কলরেট বৃদ্ধিসহ গ্রাহকদের ওপর চাপ পড়ে এমন কোনো কিছুর সাথে একমত হইনি। কারণ মোবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ভয়েজ ও ডাটা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষকে আরো উৎসাহিত করার পূর্বশর্ত সাশ্রয়ী মূল্য। বিশেষ করে স্টুডেন্টদের জন্য।’
তারানা হালিম ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এ হিসাবে প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর যাবে ২৫ টাকার কিছু বেশি। এতদিন তা ২২ টাকার মতো ছিল।
এর সমালোচনা করে তারানা হালিম আরো বলেন, ‘বুঝলাম না টেলিকম সার্ভিসকে করোনাকালীন অপরিহার্য সেবা বলা হলো, আবার ১০০ টাকা রিচার্জ করলে বাজেটে আগের ২১ টাকার বদলে এখন কেন ২৫ টাকা করা হলো (হিসাব তাই বলে)। বর্তমান মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার এর প্রতি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করার অনুরোধ রইল’।