চলতি বছরের একুশে পদক আগামী রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) হস্তান্তর করা হবে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) একুশে পদক দেওয়ার অনুষ্ঠানের প্রচার নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২২’ দেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য চলতি বছর একুশে পদক পাচ্ছেন ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ বছর ভাষা আন্দোলনে দুজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে চারজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুজন, সমাজসেবায় দুজন, গবেষণায় চারজন (দলগতভাবে তিনজন) একুশে পদক পাচ্ছেন। এছাড়া সাংবাদিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষায় একজন করে একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
একুশে পদক পাচ্ছেন যারা: ‘ভাষা আন্দোলন’ ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পদক পাচ্ছেন মোস্তফা এম এ মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর)। ‘শিল্পকলা’য় পদক পাচ্ছেন জিনাত বরকতউল্লাহ (নৃত্য), নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর) (সংগীত), ইকবাল আহমেদ (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু (সংগীত), খালেদ মাহমুদ খান (খালেদ খান) (মরণোত্তর) (অভিনয়), আফজাল হোসেন (অভিনয়), মাসুম আজিজ (অভিনয়)। ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান, আমজাদ আলী খন্দকার পদক পাচ্ছেন। এছাড়া ‘সাংবাদিকতা’য় এম এ মালেক, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’তে মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ একুশে পদক পাচ্ছেন। ‘সমাজসেবা’য় একুশে পদক জিতে নিয়েছেন এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের। কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ ‘ভাষা ও সাহিত্য’ ক্ষেত্রে পদক পাচ্ছেন।
এছাড়া ‘গবেষণা’য় ড. মো. আবদুস সাত্তার মন্ডল এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবিষ্কারের জন্য দলগতভাবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. মো. এনামুল হক (দলনেতা), ড. সাহানাজ সুলতানা ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।