ইলন মাস্ক আর এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী নন। সোমবার তার গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার বাজারদর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ পড়ে যাওয়ার পর বিশ্বখ্যাত এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ১৫২০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ হারিয়েছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে তার একটি টুইট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর টেসলার এটাই সর্বোচ্চ দরপতন। ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘বিটকয়েন ও ছোট প্রতিদ্বন্দ্বী ইথারের দাম বাড়তে শুরু করেছে’ বলে গত সপ্তাহে মাস্কের মন্তব্যের পর থেকেই ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটির বাজারদর নামতে শুরু করে।
নিজের পছন্দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এমন বার্তা দেওয়ার দুই সপ্তাহ আগে টেসলার বিনিয়োগ নীতিমালা হালনাগাদ করে বিটকয়েনে দেড়শো কোটি ডলার বিনিয়োগ করেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক।
বিটকয়েনের দাম তরতর করে বাড়ছিল। গত রোববার এর মূল্য ৫৮ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। জানুয়ারির শুরু থেকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য ৯০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি।
তবে ২০২০ সালজুড়ে বিটকয়েনের দাম ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয়দিনের মতো বিটকয়েনের দরপতন হয়েছে। মুদ্রাটির স্থায়ীত্ব ও তা টেকসই কিনা, জনমনে এমন সন্দেহ দেখা দেওয়ার পর থেকে এক সময় বিটকয়েনের দাম ৫০ হাজার ডলারেরও নিচে নামে।
টেসলার শেয়ারে দরপতনের পর ব্লুমবার্গ শতকোটিপতি তালিকায় শীর্ষস্থানটি হারান ইলন মাস্ক। গত জানুয়ারিতে তার মোট সম্পদমূল্য ২১০ বিলিয়ন ডলার থাকলেও তা এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ১৮৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।
অপরদিকে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন সম্পদ হারানোর পরও মোট ১৮৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে ইলন মাস্ককে টপকে বিশ্বের শীর্ষধনীর স্থানটি ফের নিজের দখলে নিয়েছেন অ্যামাজন ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।
টেসলার বাজারদর ওঠানামা করায় গত জানুয়ারি থেকে এই দুই ধনকুবের নিয়মিত বিরতিতে একে অপরকে টপকাচ্ছেন। অথচ গত জানুয়ারির আগে টানা তিন বছর শীর্ষধনী ছিলেন অ্যামাজনের জেফ বেজোস।