আসাদুজ্জামান আসাদ:: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসনের ফকিরহাট উপজেলায় কমপক্ষে এক লক্ষ ভোটার উপস্থিত করে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চায় উপজেলা আওয়ামী লীগ। শেখ হেলাল উদ্দীনের নৌকা মার্কার ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি অন্য ৫ জন সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় দলটি সহনশীল অবস্থান নিয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশের নেতৃত্বে মাঠ পর্যায়ের নেতারা ভোট কেন্দ্রে ভোটার টানার নানা কৌশল নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। এবার উপজেলার ৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ১লক্ষ ৩৩হাজার ৭৬৯ জন ভোটার রয়েছে। লক্ষ্য কমপক্ষে ৭৫ ভাগ ভোটার অর্থাৎ ১ লক্ষ ৩২৯ জন ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। তবে মাঠ পর্যায়ে অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন কোন প্রচার প্রচারণা দেখা যায়নি। ফকিরহাটের ৩৯ হাজার ভোটারের বাড়িতে একাধিকবার নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছে আওয়ামী লীগের ভোট প্রার্থনা কর্মীরা। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ মোট ৬জন সংসদ সদস্য প্রার্থী আছেন। নৌকার পাশাপাশি পছন্দের যে কোন প্রার্থীকে বিনা বাধায় ভোট দেওয়ার বিষয়ে ভোটারদের আশ্বস্ত করছে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে।
ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে স্বপন দাশ দলটির তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতি স্তর ঢেলে সাজিয়েছেন। মজবুত সাংগঠনিক কাঠামোর জন্য ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ ও কৃষক লীগের ৮ ইউনিয়নে ৭২ ওয়ার্ডে মোট ৩২৬টি সাংগঠনিক কমিটি এবং ৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ওয়ার্ড সেন্টার কমিটি কয়েক শত সভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নৌকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নারীদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ ৭২টি ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক করছে। তারা ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণ, পোস্টার টানানো, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা ও কুশল বিনিময়, নতুন ভোটারদের উৎসাহ প্রদানের কাজ করছেন।
বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের বড় ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীন এ মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী নেতা। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে প্রথম জাতীয় সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় সংসদে জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন পাঁচবার।
শেখ হেলাল উদ্দীনের সময়ে ফকিরহাটের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন দলটির ভরসার জায়গা। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বাংলাদেশের একমাত্র স্মার্ট উপজেলা হিসেবে ফকিরহাট নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে সরকার ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, এলজিইডি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন সেবা মানুষের দ্বোরগোড়ায় নিয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় ২৫ হাজার পরিবার বিভিন্ন সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় ভাতা পেয়ে থাকেন। ফলে ভোটার হিসেবে নাগরিক দায়িত্ব পালনে ফকিরহাটের লোকজনের মধ্যে স্বতঃস্ফুর্ততা লক্ষ করা গেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক আবুল কালাম আজাদ সাহেব বলেন, “আমরা বিভিন্ন গ্রামে ওয়ার্ডে মিটিং করে বেড়াচ্ছি যে ভোট অবশ্যই দিতে হবে। কারণ দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের ভোটকেন্দ্রে যাবার বিকল্প নেই।
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশ বলেন, “কেন্দ্র-ভিত্তিক পরিকল্পনার সাথে এবার ভোটের প্রচার কৌশল আলাদা। শেখ হেলালের উন্নয়নের কারণে নৌকা জয়লাভ করবে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি বিপুল সংখ্যক জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবে। একটি জনঅংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন জয়লাভ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন। আমরা ৭ জানুয়ারি সেই ইতিহাস গড়তে কাজ করছি।