স্ত্রীকে উত্যক্ত করায় নিরূপায় হয়ে স্বামী খুলনার মহানগর হাকিম আমলী আদালতে মামলা দায়ের করলে আসামি বাদীকে হুমকি দিতে থাকে। আসামি পক্ষে হুমকিদাতার সংখ্যা বাড়ছে। একইসাথে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চাপ সৃষ্টি করছে। বাদী আতংকের মধ্যে আছেন। বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ায় তিনি কেএমপি’র সদর থানায় জিডি করেছেন।
গত ১০ অক্টোবর আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে খুলনা মহানগর হাকিম এর আমলী আদালতে পর্ণগ্রাফী আইনে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি শেখ হাসানুজ্জামান সোহেল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে চাকরিরত একজন সেনা সদস্য। মামলা করার পর সেনা সদস্য প্রভাব খাটিয়ে মামলা তুলে নেয়ার চাপ দিতে থাকে। এমনকি বাদীর বাসায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাড়া করা সন্ত্রাসী পাঠিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। যার জন্য বাদী মামুন গত ১২ অক্টোবর খুলনা সদর থানায় একটি জিডি করেন।
মামুন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, সেনা সদস্য শেখ হাসানুজ্জামান সোহেল আমার স্ত্রীর দুঃসম্পর্কের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে বিয়ের আগ থেকেই আমার শ^শুর বাড়িতে যাতায়াত করত। আমার স্ত্রী সোনিয়া আফরিন তন্নীকে সোহেল দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে বিরক্ত করে আসছে এবং বিভিন্ন প্রকার কু-প্রস্তাব দেয়। ফোন করেও উত্যক্ত করে এবং অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাপ প্রয়োগ করে। উক্ত প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় নানারকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এমনকি আমার পিতার কাছে স্ত্রী তন্নীর নামে নানারকম মিথ্যা আপত্তিকর কথা বলে, যা আদৌ সত্য নয়। তার জন্য গত ২১ আগস্ট খুলনা সদর থানায় একটি জিডি করে। তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে আসামি সোহেল কৃতকর্মের দোষ স্বীকারপূর্বক মুচলেকা দেয় যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবে না। কিন্তু গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বাসায় আসে। সাথে করে আনা কোমল পানীয় তন্নীকে জোরপূর্বক খাইয়ে অর্ধ অচেতন করে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত ছবি নিয়ে আসামি সোহেল ব্লাকমেইল করে আসছিল। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামি সোহেল ফেসবুকে একটি ফলস আইডি খুলে অশ্লীল ছবি পোস্ট করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
মামুন এ প্রতিবেদককে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে গতকাল বুধবার পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যায়। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মামলার বিস্তারিত শুনে আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ^াস প্রদান করেন।
আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের উধ্বর্তন মহলের কাছে বিনীত প্রার্থনা জানান। যাতে আসামি সোহেল যেন সমাজে এমন ঘৃণিত কর্মকান্ড আর করতে না পারে। আর কোন মহিলার সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।