রিয়াদ হোসেনঃ ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই কত রব আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে..।’ জনপ্রিয় গানটি আজও সেই পুরাতন দিনের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। একটি সময় ছিল যখন গ্রামগঞ্জের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে চলতো গরু ও ঘোড়ার গাড়ি। এসময় এটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন হিসেবেও প্রচলিত ছিল। কিন্তু আধুনিকতার যান্ত্রিক ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে গাড়িয়াল পেশাও।যদিও দু’একটি ঘোড়ার গাড়ি চোখে পড়ে কিন্তু দেখা মেলেনা গরুর গাড়ির।
এদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য বেয়ে দেড়শ বছরেরও অধিক সময় পার করেছে ঘোড়ার গাড়ি। তবে সভ্যতার এই যান্ত্রিক যুগে এসেও সাতক্ষীরার তালাতে দেখা মিললো বেশ কিছু ঘোড়ার গাড়ির। যেটা চালিয়েই চলে সেখানকার বেশকিছু মানুষের জীবন-জীবিকা। বর্তমানে এই উপজেলায় এখনও মালবাহী কাজে বেশ কিছু ঘোড়ার গাড়ি চলাচল করে বলে জানান স্থানীয় এলাকার ষাটোর্ধ ব্যক্তিরা।
১৫ থেকে ২০ মণ ওজন বহনে সক্ষম ঘোড়াগুলো প্রতিদিন ২০ কিলোমিটারেরও বেশি পাকা কাঁচারাস্তা পাড়ি দিয়ে মালামাল বহন করে থাকে। বেশিরভাগ সময় গাছের গুঁড়ি, মুদি মালামাল বহন করে তারা। তবে ধান, পাট কাটার মৌসুমে ফলন ঘরে তোলার সময় গাড়িয়ালদের আয় সারা বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।
তালায় বালিয়া গ্রামের গাড়িয়াল লিটন শেখ বলেন, প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাচ্ছি। আগের মতো তেমন ভাড়া পায় না।তবে কাট বহনের কাজে ঘোড়ার গাড়ি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে কাঠ ব্যবসায়ীরা।এখনও প্রতিদিন চার’শ থেকে পাচ’শ টাকা আয় হয়। এটা দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছি সংসারের যাবতীয় খরচাদি