চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃঈদুল আজহা দরজায় কড়া নাড়লেও এখনো জমে ওঠেনি খুলনার অস্থায়ী পশুর হাট। পর্যাপ্ত কোরবানির পশু থাকলেও হাটে এখনও ক্রেতা কম। এবার অনলাইনে পশু কেনাবেচা বাড়ায় ক্রেতা কিছুটা কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত প্রতিবছরই ঈদের দুই-তিনদিন আগে পশুর হাটগুলো জমে ওঠে। এবারও তেমনটা হবে বলে তারা আশাবাদী।
তথ্যমতে, আগামী ১ আগস্ট বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সেই অনুযায়ী ঈদের আর মাত্র ছয় দিন বাকি। ঈদ ঘনিয়ে এলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানির পশুর হাট এখনও জমজমাট হয়ে ওঠেনি। জানা যায়, আজ খুলনায় ঐতিহ্যবাহী জোড়াগেট পশুর হাট উদ্বোধন করা হলেও বাজারে তেমন কোন গরু নেই। এছাড়া খুলনার ডুমুরিয়া, খর্নিয়া, আঠারমাইল এলাকায় গরুর বাজার জমেনি। সরেজমিনে খর্নিয়া হাটে দেখা যায়, হাটের দিন লোকজন গরু বাঁধার খুঁটি বসাচ্ছেন। হাটে অনেক গরু এসেছে কিন্তু সেই অনুযায়ী বিক্রি নেই। পশুর হাটের গরু বিক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে চারটা গরু এই হাটে আনছি। আমার এই চারটি গরুতে খরচ হয়েছে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা। লাল গরুটার দাম উঠছে ৯৫ হাজার টাকা। আর সাদা গরুর দাম চাই এক লাখ টাকা। এখন বাজার দরের অপেক্ষায় আছি। যে দাম আসবে সেই দামে বিক্রি করবো। লাভ-ক্ষতি যাই হোক বিক্রি করে বাড়ি যাবো।
আরেক বিক্রেতা মো. খালেক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক বড়-বড় ব্যাপারীরা এবার হাটে কম গরু এনেছেন। আমি এবারও এনেছি, যা হওয়ার হবে, আল্লাহ ভরসা। আমার পাঁচটি গরু নিজের গোয়ালের আর বাকি গরু আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিনে হাটে নিয়ে আসছি। আমার ১৯টি গরুতে খরচ পড়েছে ২৩ লাখ টাকা। আশা করছি এই বাজারে ২৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো, বাকি আল্লাহর ইচ্ছায়।