খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের সকল সংকটকালে বিপর্যস্ত জাতিকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি। আর সেই দলের চেয়ারপার্সন সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজের জীবন বিপন্ন জেনেও কখনোই জনগনকে ছেড়ে যাননি। প্রায় ১৭ বছর আওয়ামী জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশ তথা বিশ^াবাসীর কাছে অপোষহীন নেত্রী হিসেবে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’র মর্যাদায় আসীন হয়েছেন তিনি। নেতা-কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে আওয়ামীলীগের নেত্রী যেখানে নিজে বাঁচতে বারবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, পক্ষান্তরে বেগম খালেদা জিয়াকে ১/১১ সরকারের দেয়া বিদেশে আরাম-আয়েশী প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাবরণ করেছিলেন। বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে শেখ হাসিনার চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্র মুক্তি ও অর্জিত স্বাধীনতার মাধ্যদিয়ে দীর্ঘ কারাবাসের পর জামিনে মুক্তিলাভ করেছেন খালেদা জিয়া। তবে এখনো যে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি; জনগনকে গণতন্ত্রের স্বাদ দিতে হবে। বিগত সাড়ে ১৬ বছরের লুটপাটের অর্থ-সম্পদ জনগনকে ফেরত দিতে হবে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১২টায় নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ুু ও পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। খুলনা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী। পরে খুলনা জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রথিতযশা আইনজীবী ও প্রবীণ রাজনীতিক গাজী আব্দুল বারীর মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসব কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি’র খুলনা মহানগর সভাপতি এ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুর রহমান মিন্টু, মোঃ রকিব মল্লিক, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, এসএম শামীম কবির ও আশরাফুল আলম নান্নু, বিএনপি নেতা শেখ আব্দুর রশিদ, অসিত কুমার সাহা, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, শেখ আজগর আলী, মোঃ হাফিজুর রহমান, আনিছুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, মনিরুজ্জামান লেলিন, এসএম মুর্শিদুর রহমান লিটন, খন্দকার ফারুক হোসেন, সরোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, হাসনাত রিজভী মার্শাল, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, মনির হাসান টিটু, হাবিবুর রহমান রিটু, শেখ আব্দুল বাশার, দিদারুল হোসেন, হেলাল উদ্দিন, শামসুল বারিক পান্না, এ্যাড. এসএম মাহফুজুর রহমান, মোল্লা সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফফর হোসেন, জাবেদ মল্লিক, হাবিবুর রহমান, আল আমিন সানা, নাদিমুজ্জামান জনি, মোল্লা আইয়ুব হোসেন, মোল্লা কবির হোসেন, এ্যাড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, খান ইসমাঈল হোসেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বুলু, মাহমুদ আলম লোটাস ও এ্যাড. ইসকন্দার মির্জা প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মোঃ জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া গত জুম্মাবাদ খুলনার নয়টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভা বিএনপি’র উদ্যোগে মসজিদে মসজিদে অনুরুপভাবে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল।