রাশিয়ার পর চীন উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাও বাংলাদেশে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনো কোম্পানি চাইলে রাশিয়া ও চীনের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ডোজগুলো বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী রাশিয়ার টিকায় অনুমোদন দেয়ার পর চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা সিনোভ্যাকের জরুরি ব্যবহার অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান দুপুর দেড়টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার, চায়নার ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছি। দেশীয় কোনো কোম্পানি চাইলে আমাদের দেশে সেই বানানোর অনুমোদনও দেয়া হবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কোম্পানিগুলো বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবে।’
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের সময় করোনা চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বিএসএমএমইউ। চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণায় ভূমিকা রাখছে তারা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ অনেকেই।