সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: এম.জে.এফ বিশেষ প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের দায়েরকরা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গত ১১মার্চ ২০২০ তারিখে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বিলকাজলা গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল শেখের ছেলে আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ৪১.০১.৮৭২.২৭.০২৫.০৪.০৩ স্মারকে দুর্নীতি দমন কমিশনে ৯৯/২০২০ এর অভিযোগের বিষয়টি সাতক্ষীরা শহর সমাসেবা অফিসারকে আহবায়ক করে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, জেলা সমাজসেবা অফিসের রেজিস্টার জামাল উদ্দীন ও কালিগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মামুন হোসেন সরেজমিনে তদন্তে আসেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রথমে অভিযোগকারীদের কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত মন্তব্য গ্রহন করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাগন এম.জে.এফ এর প্রধান কার্যালয় নলতায় আসেন। এসময় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকের কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়টি লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে জানতে চেয়ে ভাড়াশিমলা এম.জে.এফ বিশেষ প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জালালুর রহমানের সাথে সরেজমিনে কয়েক দফায় কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ব্যাস্ততা দেখিয়ে কোন উত্তর দেননি।
অন্যদিকে মোবাইল ফোনে এম.জে.এফ’র নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। বিষয়টি নিয়ে একাধীকবার বিভিন্ন জায়গা থেকে তদন্ত করে সত্য প্রমাণিত হয়নি। তাছাড়া স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্জ অধ্যাপক ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক মহোদয়ের অনুমতিক্রমে প্রতিষ্ঠানের সকল কাজ চলমান আছে। আরো বলেন, ২০০৮ সালে নলতা এলাকায় প্রতিবন্ধি শিশুদের নিয়ে এনডিডি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিউরো ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের আওতায় এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ২০/০৪/২০১৬ সালে সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয় হতে নিবন্ধিত হয়। ফলে নলতা শরীফে এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় টি এনডিডি (০৪টি বিষয়ের প্রতিবন্ধিদের সেবা প্রদান বিদ্যালয়/২০১০এবং প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের অধীনে ভাড়াশিমলা এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়/২০১৭ সাধারন (০৮টি বিষয়ের) প্রতিবন্ধিদের সেবা প্রদান বিদ্যালয় চালু হয়। ভাড়াশিমলা বিদ্যালয়টির নামীয় জমিতে ভৌত অবকাঠামো নির্মান করে সরকারী নিবন্ধনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও প্রধান শিক্ষকের অসহযোগীতায় বাধাগ্রস্থ হওয়ায় নলতা এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় স্থান্তর করা হয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি চক্র প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়টি বন্ধ করতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমার আমার সুনাম নষ্ট করে চলেছে। আমি তাদের এই হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযোগের তদন্তকারী কমিটির আহবায়ক শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমাজ জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করা অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে তিনি আহবায়ক হওয়ায় বাকি সদস্যদের সাথে নিয়ে সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবেন বলে জানান।