‘এমন সন্তানের ফাঁসি হলেও আমি কষ্ট পাবো না। তার অত্যাচারে সংসার সাজানো তো দূরের কথা বরং কয়েক দফা ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। তারপরেও সব সহ্য করেছি, সে সন্তান বলে। আজ সে নিজেও সংসার করেছে। তারও সন্তান আছে। বসবাসও করছে আলাদা। তারপরেও তার লোভী চোখ আমার আরেকটি সন্তান আশরাফ আলীর জীবন কেড়ে নিতে চেয়েছিল। জানি না আশরাফ আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে কি না। আমি এমন সন্তানের শাস্তি চাই। আর কোনো মায়ের গর্ভে এমন সন্তানের যেন জন্ম না হয়।’
কথাগুলো বলছিলেন সম্প্রতি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা চাপানী বাজারে নিজ ভাইয়ের হাতে হামলার স্বীকার আশরাফের মা জেলেখা বেগম(৭০)। তিনি মৃত মাহামুদ্দিনের স্ত্রী।
আশরাফের স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় সময় জহরুতুল্লাহ ও তার তিন সন্তান আমার স্বামীর গায়ে হাত তোলে। সম্মানের জন্য লজ্জায় আমার স্বামী এসব কথা বাইরে বলেননি এবং আইনি আশ্রয় নেননি। গত বছরের ৯ নভেম্বর তিনি ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দিতে গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ আমলে নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, পরদিন আমার স্বামী জলঢাকা পৌঁছলে তার ওপর তারা হামলা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমার স্বামীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমার স্বামীকে যারা পঙ্গুত্বের দিকে নিয়ে গেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, মামলার একজন আসামি পলাতক আছে। বাকীরা জামিনে আছে। মেডিক্যাল সনদ হাতে পেলে মামলার চার্জসীট দেওয়া হবে।