অনলাইন ডেস্কঃসাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে খবর পেয়েই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ছুটে যান জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ।
আজ রোববার সকালে এরশাদের মৃত্যুর পর গুলশান-২ এর ৬৭ নম্বর রোডে রওশন এরশাদের বাসার সামনে দেখা গেল নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের অবস্থান। বাসার চারদিকে ফাঁকা। এক ধরনের নীরবতা বিরাজ করছে সেখানে।নিরাপত্তাকর্মী মোহম্মাদ ইয়াহিয়া জানান, এরশাদের মৃত্যুর খবর শুনেই সকালে সিএমএইচে ছুটে যান ম্যাডাম।
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।এরশাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আজ রোববার (১৪ জুলাই) বাদ জোহর আর্মি সেন্ট্রাল মসজিদে। এরপর আগামীকাল সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা ও বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তারপর হেলিকপ্টারে এরশাদের মরদেহ নেয়া হবে রংপুরে। সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে ঢাকায় সেনাবাহিনী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এরশাদ।আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এরশাদ। ৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন।
গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। এর আগেও তিনি একাধিকবার দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নেনরংপুর-৩ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত এ সংসদ সদস্যের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তিনি রংপুর জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন।এরশাদ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান, এককালীন প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।