ডুমুরিয়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় মুরগি উৎপাদনকারী দলের ৩০জন সদস্য পেয়েছে মুরগির আবহাওয়া সহিষ্ণু ঘর। এতে মুরগির রোগের প্রাদুর্ভাব কমবে এবং উৎপাদন বাড়বে মাংস ও ডিমের।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ক্লাইমেট স্মার্ট শেড নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ সেবাদানকারীদের সহযোগিতায় খামারিদের মাধ্যমে শেড নির্মাণ কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাইডলাইন অনুসারে শেড নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনসহ তদারকি করেন। ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়ানের জিলের ডাঙ্গা গ্রামে মুরগির আবহাওয়া সহিষ্ণু শেড নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নে ৩০টি, মুরগির শেড নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
খামারিরা মুরগির আবহাওয়া সহিঞ্চু ঘর পেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কয়েকজন খামারি বলেন, উৎপাদনকারী দলের সদস্য হিসেবে নিয়মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ পেয়ে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করছেন এবং বিজ্ঞানভিত্তিক খামার গড়ার উৎসাহ উদ্দীপনা পেয়ে নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করছেন।
ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়নের উৎপাদনকারী দলের সভাপতি মায়া রায় বলেন, আমরা পশু হাসপাতালের ঘর পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। নতুন করে মুরগি উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছি।
অন্যদিকে, দলের সাধারণ সম্পাদক কল্পনা সরকার বলেন, মুরগি যেন কষ্ট না পায় সেজন্য সুন্দর করে ঘর তৈরি করা হয়েছে। সবেমাত্র পাওয়া এ ঘরে অনেকেই মুরগি পালন করেছেন।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবির বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নত, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা স্মার্ট খামার গড়ে নিজেরা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, এ ধরনের স্মার্ট শেডে মুরগি লালন পালন করলে মুরগির রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে এবং ডিম ও মাংস
উৎপাদন অনেকাংশে বেড়ে যাবে।