নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এ বছর আর দেশটির সীমান্ত খোলা হচ্ছে না।
মঙ্গলবার দেশবাসীকে এ সতর্ক বাণী শোনান নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুই মাস পর সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ার পর তিনি এ পদক্ষেপের কথা জানান। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
শুরু থেকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয় নিউজিল্যান্ড। এখন পর্যন্ত মাত্র ২৫ জন ব্যক্তি মারা গেছেন দেশটিতে। আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজারেরও কম।
দুই মাসেরও বেশি সময় পর নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ৫৬ বছর বয়সী এক নারী ইউরোপ থেকে ফিরে দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
কোয়ারেন্টিন শেষে তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দুই মাস পর প্রকাশ্য স্থানে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অকল্যান্ডে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা থেকে বের হওয়ার আগে করোনা পরীক্ষায় তার দুবার নেগেটিভ আসে। শনিবার তিনি কোভিড পজিটিভ হন।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস জানান, আক্রান্ত হওয়ার দুদিন পর উপসর্গ হালকা হয়ে আসে ওই নারীর। ফলে তিনি ধীরে ধীরে উন্নতি করছেন। ঘরে আইসোলেশনে আছেন তিনি।
তার সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাদের শনাক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই নারী কোনো কোনো জায়গা গেছেন, সেসব স্থানের নামও প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যে।