সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করে নিতে পারলে সারা দিন আর কোনো চিন্তা থাকে না। দুপুরে–বিকেলে–রাতে ব্যায়াম করলে, মাঝেমধ্যেই বাধা পড়তে পারে। এ জন্য দিনের যেকোনো একটা সময় নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে। যে সময় নিজের সুবিধা হবে, ওই সময়টিকেই বেছে নিন ব্যায়ামের জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালের ব্যায়ামে বডিক্লক সুন্দরভাবে পাল্টে যেতে শুরু করে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এর্নাজিও কমে । এ ছাড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে সকালের ব্যায়াম। দুপুর-বিকেলের ব্যায়ামও ভালো। দুপুর ১টা থেকে ৪টার মধ্যে ব্যায়াম করলে পেশি নমনীয় থাকে৷ রক্তচাপ কমে৷ বডিক্লকও এমনভাবে পিছিয়ে যায়, দিনের শেষ ভাগেও শরীর তরতাজা থাকে৷ অন্য এক পরিসংখ্যান বলছে, এই সময় এমনিতেই ১০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খরচ হয়, তার ওপর ব্যায়াম করলে ক্যালোরি খরচের হার আরো বেড়ে যায়৷ পেশি গঠনের জন্যও এই সময় আদর্শ৷ সন্ধ্যার পরও ব্যায়াম করতে পারেন। তবে ব্যায়াম করে যদি খাওয়াদাওয়া না করে শুয়ে পড়েন তাহলেই বিপদ।
প্রথমে ভেবে নিন, দিনের কোন সময় আপনি সবচেয়ে তরতাজা থাকেন৷ কখন সময় পাবেন, সেটাও ঠিক করে নিন। সময় নিয়ে সমস্যা না থাকলে, বিভিন্ন সময়ে ব্যায়াম করে দেখে নিন, কোন রুটিন মেনে চললে আপনি সবচেয়ে বেশি ভালো অনুভব করছেন।
ব্যায়ামের উদ্দেশ্যটাও মাথায় রাখবেন৷ প্রাথমিক শর্ত যদি ওজন কমানো হয়, সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করাই সবচেয়ে ভালো৷ সম্ভব না হলে অন্য সময়৷ পেশি গঠন করতে চাইলে একটু বেলার দিকে, দুপুরে বা বিকেলে ব্যায়াম করুন৷ খালি পেটে নয়৷ এখন প্রশ্ন হলো- কোথায় করবেন? বাড়িতে না জিমে? বাড়িতে করলে যন্ত্রপাতি কিনে নিজের সুবিধা বুঝে ব্যায়াম করতে পারেন৷ না হলে বাড়ি বা অফিসের কাছের ভালো জিম খুঁজে নিন৷
কখন কী খাবেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ৷ ব্যায়ামের আগে কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে ব্যায়ামের পর প্রোটিন খাওয়ার কথা৷ তবে হালকা ব্যায়াম করলে অত চিন্তা না করলেও চলে৷ ব্যায়ামের আদর্শ সময় বলে কিছু হয় না৷ যখন সময় বের করতে পারবেন তখনই করেন। অভ্যাস হয়ে যাবে এবং ভালো ফল পাবেন।