চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ যুবলীগ চেয়ারম্যানের নানা অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রমাণ না পেয়ে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। তিনি (ওমর ফারুক) অপরাধী হলে সেটি প্রমাণ করতে হবে। যা হয়েছে সেটি দেখতে থাকুন। ভবিষ্যতে কি হবে তাও দেখতে থাকুন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, তাদের সম্মেলন হচ্ছে। ৪টি সহযোগী সংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যেই সম্মেলনের কাজ শেষ করতে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা সম্মেলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। নেত্রী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন।
নেতৃত্ব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুবলীগের কাউন্সিলরা ঠিক করবে তারা কাদের নেতৃত্বে আনবেন। পার্টির সভাপতি ফাইনাল অথরিটি। তিনি পরিবর্তন করতে চাইলে অবশ্যই করবেন।
ক্যাসিনোর অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন একটি ক্লাবের সভাপতি। তাই বলে কি তিনি ক্যাসিনো ব্যবসা করেন? স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা কাওসার ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। তাই বলে কি তিনি ক্যাসিনো ব্যবসা করেন? অভিযোগ উঠলেই ব্যবস্থা নেয়া যায় না। অভিযোগের ভিত্তি লাগে, প্রমাণ লাগে।
তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে কেউ রেহাই পাবেন না। আমরা যা বলছি তা মুখে বলছি না, কালপ্রিটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় কোনো দ্বিধা-সংকোচ নেই।
অভিযান প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অভিযান চলবে, ১৫ দিনেই কি সব কমপ্লিট করব? আরও অনেক কিছুই দেখার আছে।
এদিকে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে তার এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বৃহস্পতিবার বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তবে আগে থেকেই মৌখিকভাবে তার ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়। ফলে তার হিসাব থেকে টাকা তোলা সম্ভব হচ্ছিল না। তার নামে দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
সোনালী ব্যাংকে তার দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে সাড়ে ১১ কোটি টাকা ঋণও রয়েছে। ক্যাসিনো ও জুয়াবিরোধী অভিযানে যুবলীগের পদস্থ কয়েকজন নেতাকর্মী আটক হয়েছেন।