আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ওমিক্রন প্রতিরোধে দুই ডোজ টিকাই যথেষ্ট নয়। বুস্টার ডোজের মাধ্যমে করোনার নতুন ধরনটির অন্তত ৭৫ শতাংশ নিরাময় সম্ভব বলে এক গবেষণা সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
ডেল্টা ও ওমিক্রন নিয়ে করা এক গবেষণা সমীক্ষায় যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, দুই ডোজ প্রয়োগের পরও অন্তত তিনমাস পর থেকেই টিকার কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই ওমিক্রন থেকে বাঁচতে করোনার দুই ডোজই যথেষ্ট নয়। তবে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ প্রয়োগের মাধ্যমে অন্তত ৭৫ শতাংশ নিরাময় সম্ভব।
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ঠিক কোন টিকা কার্যকর এ নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজারের বুস্টার ডোজ প্রয়োগের মাধ্যমে কোভিডের লক্ষণগুলোও ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। তবে মডার্নার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, টিকার কার্যকারিতা খুব দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। দুই ডোজের মাধ্যমে ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন বুস্টার ডোজ। এতে ৭৫ শতাংশ সুরক্ষা মিলছে, দেহে কোভিডের মৃদু লক্ষণও থাকবে না।
এদিকে, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক হলেও আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি কম বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ তাদের।
অতিসংক্রামক হলেও আক্রান্তের দেহে ওমিক্রন খুব একটা প্রভাব ফেলে না। লক্ষণগুলো খুবই মৃদু। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সবার সচেতন থাকা জরুরি।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ঘরে বসেই ওমিক্রনে আক্রান্তের চিকিৎসা সম্ভব।